Menu

আনন্দমঠ 1882, উপন্যাস, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

আনন্দমঠ 1882 : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমঠ উপন্যাসের পরিচিতি কম নয়। এই উপন্যাস সম্পর্কিত টীকা এখানে সন্নিবেশিত হলো।

আনন্দমঠ 1882 (১৮৮২ খ্রি:), উপন্যাস, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়


বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তও্ব ও দেশাত্মবোধক উপন্যাস।

 বিষয়

  1. উপন্যাসটি বাংলার ইতিহাসের ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ও সন্ন্যাসী বিদ্রোহ অবলম্বনে রচিত। এছাড়া অগ্নিগর্ভ স্বদেশপ্রেম ও রক্তাক্ত আত্মোৎস্বর্গ  সন্ত্রাসবাদের যুগে বিপ্লবীদের মনে উদ্দীপনা ও হাতে আগ্নেয় অস্ত্র যুগিয়ে ছিল। 
  2. দুর্ভিক্ষের সময় সন্ন্যাসীদের কোম্পানির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আহ্বান ও সন্ন্যাসী বিদ্রোহকে কেন্দ্র করে বাংলার তরুণ সমাজ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। 
আরো পড়ুন--  দিগদর্শন পত্রিকা 1818

বৈশিষ্ট্য

  • আলোচ্য উপন্যাসের বিশিষ্ট সম্পদ ‘বন্দেমাতরম্‌’ সংগীত। এই সংগীত সম্বন্ধে বঙ্কিমচন্দ্র ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, “একদিন আসিবে – সেদিন হয়তো তিনি বাঁচিয়া থাকিবেন না – যেদিন এই গানে বঙ্গদেশ মাতিয়া উঠিবে।”
  • ‘বন্দেমাতরম্‌’ মন্ত্রে বঙ্কিমচন্দ্র শুধু একটি জাতিকেই জাগ্রত করতে চাননি, উপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পরোক্ষ আহ্বান জানিয়েছিলেন। 
  • উপন্যাসের কাহিনীগুলি যেমন ‘আনন্দমঠকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে ‘আনন্দমঠ ’ তেমনি সন্তানদের প্রেরণার উৎসস্থল। 
  • আলোচ্য উপন্যাসের বিশিষ্ট চরিত্র – ভবানন্দ, জীবানন্দ  ও কল্যাণী। 
  • একদিকে স্বেচ্ছাকৃত শুল্ক ও কঠোর কর্তব্যের আহ্বান, অন্যদিকে নারীর প্রতি পুরুষ চিওের আদিম আকর্ষণ – এই বিরুদ্ধে শক্তির সংগ্রাম ভাবানন্দ ও জীবনানন্দের জীবনে বৈচিত্র এনেছে। আবার কল্যাণীও স্বপ্ন আখ্যায়িকার উপযোগী অতীন্দ্রিয় আবহাওয়া সৃষ্টি করেছে। 
  • কল্যাণী ও শান্তি উভয়েই পতিপ্রানা হলেও দুটি চরিত্র বিপরীত ধর্মী। যেমন কল্যানী ধীর,স্থির অচঞ্চল, গাম্ভীর্যময়ী ও আদর্শ গৃহবধূ তেমনি শান্তি রহস্যপ্রিয়, আদর্শময়ী রমণী ও বায়ু আন্দোলিত সমুদ্র তরঙ্গের মতো নৃত্যচঞ্চল। 
  • উপন্যাসটির প্রধান ও প্রবাল সুর দেশাত্মবোধ। সে কারণে দেশাত্মবোধের জাগরণ, ‘বন্দেমাতারাম ’ জাতীয় সংগীত এবং বাঙালির জাতীয় আন্দোলনের ক্ষেত্রে উপন্যাসটির ভূমিকা অনবদ্য। 
আরো পড়ুন--  অগ্নিবীণা 1922, কাজী নজরুল ইসলাম 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: সংরক্ষিত !!