Last Updated on December 25, 2021 by বাংলা গাইড
গাথাসপ্তশতী
মহাকবি হাল এই গ্রন্থটির রচয়িতা। এই ‘হাল’ দক্ষিণ ভারতের সাতবাহন বংশের নরপতি হাল, না শালবাহন নামে কোন রাজা এর রচয়িতা, সে সম্পর্কে পণ্ডিত মহলে সন্দেহ বর্তমান। রচয়িতার নাম-পরিচয়ের সমস্যার জন্য গ্রন্থটির রচনাকালও সঠিকভাবে নির্ণীত হয় নি। তবে ‘কবীন্দ্রবচনসমুচ্চয়’, ‘সদূক্তিকর্ণামৃত’, ‘সুভাষিতাবলী’ প্রভৃতি গ্রন্থের বহু শ্লোকের মধ্যে হালের এই কাব্যটির প্রভাব লক্ষ করা যায়, বিশেষতঃ রাধার (‘রাহী) প্রাচীনতম উল্লেখের জন্য গ্রন্থটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব খুব বেশি।
মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত যা সব চাইতে শ্রুতিসুখকর (prakit per excellence’), এই গ্রন্থটি সেই ভাষাতেই লেখা হয়। প্রায় সাতশ শ্লোক সজ্জিত মানবজীবনের বিরহমিলনের অশ্রু-আনন্দ ও কামনার উত্তপ্ত উল্লাসে এই গ্রন্থ আজও পাঠককে আনন্দদান করে।