Menu

Category: আধুনিক-যুগ

মাসিক পত্রিকা ১৮৫৪

মাসিক পত্রিকা ১৮৫৪   প্রকাশকাল/আবির্ভাব ১৮৫৪ সালের ১৬ই আগস্ট ‘মাসিক পত্রিকা’র আত্মপ্রকাশ।  সম্পাদক/পরিচিতি রাধানাথ শিকদার ও প্যারীচাঁদ মিত্র-র উদ্যোগে কলকাতায় মাসিক পত্রিকা নামে ক্ষুদ্র পত্রিকা প্রকাশিত হয়। লক্ষ্য/উদ্দেশ্য ‘মাসিক পত্রিকার প্রধান লক্ষ্য ছিল ভাষাকে সংস্কৃত আনুগত্য থেকে মুক্ত করা, স্ত্রী সমাজ ও বালকদের বোধগম্য করে তোলা। এছাড়া রাধানাথ সহজ সরল বাংলা ভাষার পক্ষপাতী। অক্ষয়কুমারের গদ্য …

সম্বাদ প্রভাকর ১৮৩১

সম্বাদ প্রভাকর ১৮৩১             সম্পাদক, প্রকাশকাল/আবির্ভাব :  সাপ্তাহিক ‘সম্বাদ প্রভাকর’ ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সম্পাদনায় ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দের ২৮শে জানুয়ারি প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে ‘সম্বাদ প্রভাকরে’র মাসিক সংস্করণ প্রকাশিত হয়। শেষ পর্যন্ত ‘সম্বাদ প্রভাকর’ সাপ্তাহিক, মাসিক এবং দৈনিক প্রকাশিত হতে থাকে।   পরিচিতি:  ‘সম্বাদ প্রভাকর’ সপ্তাহে তিনবার প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকা প্রথম …

সম্বাদ কৌমুদী ১৮২১

সম্বাদ কৌমুদী ১৮২১         প্রকাশকাল/আবির্ভাব :  সমাচার দর্পণে প্রায়ই হিন্দুধর্ম ও সমাজকে অকারণে গালিগালাজ করা হত। এর প্রতিবিধান করবার জন্য ১৮২১ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর রাজা রামমোহন রায় ও ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সম্বাদ কৌমুদী’ পত্রিকাটি প্রকাশ করে ‘সমাচার দর্পণে’ প্রকাশিত মিশনারীদের হিন্দুধর্মের প্রতি আক্রমণের যথোপযুক্ত জবাব দেন।   সম্পাদক/পরিচিতি :  সম্বাদ কৌমুদীর প্রথম সম্পাদক …

সোমপ্রকাশ পত্রিকা ১৮৫৮

সোমপ্রকাশ পত্রিকা ১৮৫৮       সোমপ্রকাশ আবির্ভাব :  ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই নভেম্বর এই পত্রিকা সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসাবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে।   পরিচিতি :  দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণের সম্পাদনায় সোমপ্রকাশ পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। তারপর মোহনলাল বিদ্যাবাগীশের হাতে সম্পাদনার ভার দেন এবং শেষের দিকে তাঁর পুত্র উপেন্দ্রকুমার “নবপর্যায় সোমপ্রকাশ” সম্পাদনা করতেন। মাঝে কাবুলে ব্রিটিশ নীতির বিরুদ্ধাচরণ করার …

দিগদর্শন পত্রিকা ১৮১৮

দিগ্‌দর্শন পত্রিকা ১৮১৮         আবির্ভাব/প্রকাশকালঃ এপ্রিল, ১৮১৮। সম্পাদক।   পরিচিতি : বাংলা ভাষায় প্রথম প্রকাশিত পত্রিকা দিগদর্শন। এটি একটি মাসিক পত্রিকা। শ্রীরামপুর মিশন থেকে প্রকাশিত হত পত্রিকাটি। সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান।   সমাজ ও সংস্কৃতিতে গুরুত্ব/অবদান :  পত্রিকাটির বিশেষ গুরুত্ব এই যে, এটি ‘যুবালোকের কারণ সংগৃহীত নানা উপদেশ ও তথ্যে সমৃদ্ধ’ …

প্রমথনাথ বিশী বাঙালি ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার

প্রমথনাথ বিশী – বাঙালি ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার   জন্ম ১৯০১ মৃত্যু ১৯৮৫   ছদ্মনাম – বিষ্ণুশর্মা , শ্রীকান্ত শর্মা   বালক বয়স থেকেই শান্তিনিকেতনের ছাত্র হওয়ার সুবাদে প্রমথনাথ বিশী অভিভাবক, শিক্ষক, প্রেরণাদাতা হিসেবে পেয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্য ও শান্তিনিকেতনের পরিবেশ বিশীর শিল্পীসত্তার বিকাশে বিশেষভাবে সহায়তা করেছিল। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় – উপন্যাস, গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, …

রামমোহন রায় (১৭৭৪ – ১৮৩৩ খ্রি.)

রামমোহন রায় (১৭৭৪ – ১৮৩৩ খ্রি.) পাণ্ডিত্য, ব্যক্তিত্ব এবং কর্মক্ষমতার সার্থক সমন্বয় হয়েছে রামমোহনের চরিত্রে। সংস্কৃত, ফারসি, ইংরেজি, উর্দু ও বাংলা এই ক’টি ভাষায় ছিল তাঁর গভীর জ্ঞান। মূল বাইবেল পড়বার জন্য তিনি প্রাচীন হিব্রু ভাষা শিখেছিলেন। কর্মযোগী রামমোহনের চেষ্টাই সতীদাহ প্রথা নিবারণের প্রধান কারণ। খ্রিস্টান মিশনারীদের সঙ্গে তর্কযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে তিনি এদেশে খ্রিস্টধর্মের অগ্রগতি রুদ্ধ করেন। ঔপনিষদিক হিন্দু …

উইলিয়াম কেরি (১৭৬১ – ১৮৩৪)

উইলিয়াম কেরি (১৭৬১ – ১৮৩৪) বাংলা গদ্য সাহিত্যের ইতিহাসে কেরী সাহেবের অবদান বিশেষ উল্লেখযোগ্য। প্রথমে বাংলা গদ্য ভাষার চর্চা ধর্ম-প্রচারকরূপ লক্ষ্যের উপায় হিসেবে তিনি প্রহণ করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উপায়ের গৌণ ভূমিকায় না থেকে লক্ষ্যের মুখ্য ভূমিকা সে অধিকার করে বসল। শ্রীরামপুর থেকে কেরি আগেই বাইবেলের বঙ্গানুবাদ প্রকাশ করেছিলেন। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বিভাগীয় প্রধান রূপে তিনি …

মিশনারীদের প্রচেষ্টায় বাংলা গদ্য

  পোর্তুগীজ মিশন   ইউরোপীয় জাতিগুলির মধ্যে পর্তুগীজদের সঙ্গেই বাংলাদেশের প্রথম সম্পর্ক স্থাপিত হয়। খ্রিস্টধর্ম প্রচার করতে গিয়ে তারা বাংলা ভাষা শিখে বাংলায় বই লেখা প্রয়োজনীয় বলে বোধ করতে লাগলেন। সপ্তদশ শতকেই যে এ জাতীয় গদ্য রচনার আবির্ভাব ঘটেছিল তার পরোক্ষ প্রমাণ আছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে রচিত কিছু বই পাওয়া গিয়েছে।   ১. দোম আন্তোনিও রচিত …

মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার (১৭৬২-১৮১৯)

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান পণ্ডিত ছিলেন মৃত্যু বিদ্যালঙ্কার। রামমোহন-পূর্ব যুগের স্মরণীয় বাঙালিদের মধ্যে তাঁর নাম সর্বাগ্রে উল্লেখ করতে হয়। বাংলা গদ্য সাহিত্যের প্রকৃত স্রষ্টারূপে মৃত্যুঞ্জয়কেই সম্মান দেওয়া উচিত। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের যে পণ্ডিতদের চেষ্টায় বাংলা গদ্য সাহিত্য ভিত্তি লাভ করে, মৃত্যুঞ্জয় তাঁদের মধ্যে রচিত গ্রন্থের সংখ্যাধিক্যে এবং ভাষার শিল্পরূপের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ স্থানের অধিকারী ছিলেন। …

error: সংরক্ষিত !!