Menu

Category: মধ্যযুগ

কবি জয়ানন্দের পরিচয় | চৈতন্যমঙ্গল কাব্যের পরিচয়

কবি জয়ানন্দের পরিচিতি ও তাঁর কাব্য চৈতন্যমঙ্গল এর সম্পূর্ণ পরিচয়   কবি পরিচিতি   জয়ানন্দের বাসস্থান মধ্যরাঢ়ের আমাইপুরা গ্রাম। পিতা সুবুদ্ধি মিশ্র, মাতা রোদনী। নগেন্দ্রনাথ বসুর মতে, ১৫১১ বা ১৫১৩ খ্রীস্টাব্দে কবির জন্ম হয়।  চৈতন্যমঙ্গল কাব্যের প্রাথমিক পরিচয়  কবি জয়ানন্দ তার ‘চৈতন্যমঙ্গল‘ গ্রন্থটি গান করার উদ্দেশ্যে যেন রচনা করেছেন। ড. বিমানবিহারী মজুমদারের মতে, ১৫৬০ খ্রীস্টাব্দের নিকটবর্তী সময়ে কাব্যটি লেখা …

কবি লোচন দাস | পরিচয় | চৈতন্যমঙ্গল কাব্যের পরিচয়

কবি লোচনদাসের পরিচয় চৈতন্যমঙ্গল কাব্যের পরিচয় কবির প্রতিভা  চৈতন্যমঙ্গল কাব্য  “নদীয়া-নাগর-ভাবের” উপাসক নরহরি ঠাকুরের স্তাবক কবি লোচনদাসের কাব্যটির নাম ‘চৈতন্যমঙ্গল‘। রাগরাগিণীর স্বরঝঙ্কারে এ কাব্যের কাহিনীপট ঝঙ্কৃত। ফলে জীবনী-কাব্যের আসরে এক গীতি-আলেখ্য রচনার প্রয়াস এখানে লক্ষ্যণীয়। তাই এখানে অধ্যায় পরিচ্ছেদ অনুপস্থিত। শুধুমাত্র সূত্রখণ্ড, আদিখণ্ড, মধ্যখণ্ড, শেষখণ্ড নামে চারিটি খণ্ড আছে। চৈতন্যমঙ্গল কাব্যের কোন খণ্ডে কী আছে  …

বৃন্দাবন দাস | কবি পরিচয় | চৈতন্যভাগবত কাব্যের পরিচয়

বৃন্দাবন দাসের পরিচয় | চৈতন্যভাগবত কাব্যের পরিচয় | চৈতন্যভাগবত কাব্যের রচনাকাল       প্রাথমিক পরিচয় (আনু. ১৫১৯ খ্রীঃ) :  বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম চৈতন্যচরিত গ্রন্থ বৃন্দাবন দাসের ‘চৈতন্যভাগবত‘। পরবর্তীকালে কোন কোন কাব্যে গ্রন্থটির নাম ‘চৈতন্যমঙ্গল’ও পাওয়া যায়। যেমন ‘প্রেমবিলাস‘ কাব্যে এই গ্রন্থের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে : “বৃন্দাবন মহান্তেরা ভাগবত আখ্যা দিল।” বৃন্দাবন দাসের …

কবি কৃত্তিবাসের সময়কাল কবি কৃত্তিবাসের আত্মবিবরণ

কবি কৃত্তিবাসের সময়কাল কবি কৃত্তিবাসের আত্মবিবরণ       রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিখ্যাত “সেকাল” কবিতায় লিখেছিলেন:   “হায়রে কবে কেটে গেছে কালিদাসের কাল পণ্ডিতেরা বিবাদ করে লয়ে তারিখ সাল।”       কৃত্তিবাসের কবি-মহিমা স্মরণ করে একথা পাঠকেরও মনে হতে পারে। রামায়ণ পাঁচালীর অমর কবি কৃত্তিবাস যথার্থই বাংলা দেশের ‘কীর্তিবাস’। কিন্তু রাজমহল থেকে চট্টগ্রাম এবং উড়িষ্যার …

চৈতন্যচরিত সাহিত্য

চৈতন্যচরিত-সাহিত্য ইতিহাসে দেখা যায়, অনেক সময় একটি ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে, জাতির নবজাগরণের মাঙ্গলিক উৎসব শুরু হয়। শ্রীচৈতন্যদেব সেই ধ্রুবতারা, যাঁকে কেন্দ্র করে অনাগত কালের বিচিত্র সম্ভাবনা মূর্ত হয়ে উঠেছিল। বাঙালীর সমাজ-জীবন-সাহিত্যে তাঁর প্রভাব হয়ে উঠেছিল সুদূরপ্রসারী। তাঁকে কেন্দ্র করে যুগ-জাগৃতির যে লক্ষণ দেখা গিয়েছিল তাকে ব্যাখ্যা করেছেন একজন ঐতিহাসিক এইভাবে : “….. it was the …

ভক্তিরসামৃতসিন্ধু – শ্রীরূপ গোস্বামী

ভক্তিরসামৃতসিন্ধু   শ্রীচৈতন্যের স্নেহধন্য শ্রীরূপ গোস্বামী (হুসেন শাহের কর্মচারী দবীর খাস)-র বৈষ্ণব রসশাস্ত্র সম্পর্কিত বিখ্যাত গ্রন্থ হল ‘ভক্তিরসামৃতসিন্ধু’। এই গ্রন্থ প্রমাণ করে, শ্রীরূপ ছিলেন একজন বিশিষ্ট কবি ও রসশাস্ত্রের বোদ্ধা। তাঁর এই গ্রন্থের দ্বারা বৈষ্ণব সমাজ তো বটেই, সেইসঙ্গে সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতাব্দীর বৈষ্ণব পদকর্তারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। জীব গোস্বামী এই গ্রন্থের টীকা রচনা করে নাম দেন ‘দুর্গমসঙ্গমণি’। …

উজ্জ্বলনীলমণি, শ্রীরূপ গোস্বামী

উজ্জ্বলনীলমণি, শ্রীরূপ গোস্বামী শ্রীরূপ গোস্বামীর লিখিত সাহিত্যের উজ্জ্বল নিদর্শন হল ‘উজ্জ্বলনীলমণি’। বৃন্দাবনের ষড়গোস্বামীদের মধ্যে জ্ঞানী ও ভক্ত রূপ গোস্বামী তাঁর এই গ্রন্থে বৈষ্ণব রসতত্ত্বের নানান দিক আলোচনা করেছেন— যা বৈষ্ণব সমাজে বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল। ‘উজ্জ্বলনীলমণি’-তে পাঁচটি মুখ্যরসের প্রধানতম যে রস শৃঙ্গার, মধুর বা উজ্জ্বল রস – তাকে অধ্যাত্ম ব্যঞ্জনার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। ‘ভক্তিরসামৃতসিন্ধু’-তে বৈষ্ণব …

বাইশা বা বাইশ কবির মনসামঙ্গল

বাইশা বা বাইশ কবি বহুশ্রুতি এবং বহুকবির চিন্তাচর্চায় মনসামঙ্গল কাব্যধারা বিকশিত হয়ে ওঠে। তবে দৈনন্দিন পূজা ও পাঠে ঘটে জনপ্রিয়তা এবং কাব্যের কোজাগরী প্রতিষ্ঠা লাভ হয় পূর্ববঙ্গে। কাব্যটিকে ভালোবাসার জন্য স্বভাবতই ভালো লাগার উপযোগী বিভিন্ন কবির রচিত পংক্তিগুচ্ছকে একটি সঙ্কলনের মাধ্যমে গ্রথিত করে একটি সম্মেলক কাব্য বা সঙ্গীত সংকলনের অস্তিত্ব থাকা ছিল খুব স্বাভাবিক ঘটনা। …

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য পৌরাণিক প্রভাব

  কাল, কবি বা রুচি বিচারে শুধু নয়,’শ্রীকৃষ্ণকীর্তন‘ কাব্যটির বিষয়-উৎস-ইতিহাসও সমস্যাচ্ছন্ন। পৌরাণিক’ না ‘লোকাশ্রয়ী‘ ভাবনা, জনজীবনের সঙ্গে কাব্য-বিষয়ের সংযোগ না পৌরাণিক সংস্কৃতির প্রেরণা কার অনুসরণে কবির কাব্য রচনার সূত্রপাত তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।   কাব্যটির প্রধান কহিনী ভাগবত থেকে নির্বাচিত; মাঝে মাঝে ‘গীতগোবিন্দে’র কিছু কিছু পংক্তি এবং কাব্যবস্তুও গৃহীত হয়েছে। বিষ্ণুপুরাণ,হরিবংশ, ভাগবত এবং ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে কৃষ্ণের জন্মকাহিনী ও বাল্যলীলা এবং বিষ্ণুর …

তুর্কি আক্রমণ । বাংলা সাহিত্যে তার প্রভাব

তুর্কি আক্রমণ । বাংলা সাহিত্যে তার প্রভাব           দ্বাদশ থেকে চতুর্দশ শতক—দেশের ইতিহাসে এক চরম সঙ্কটময় মুহূর্ত। এই সঙ্কটের কারণ প্রধানত ত্রিবিধ : রাজনৈতিক,ধর্মনৈতিক এবং সামাজিক।বলা বাহুল্য এদের কোনটাই পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন নয়,এক যোগে যুক্ত। রাজনৈতিক পরিবর্তন   রাজনৈতিক সংকটের কারণ পর্যালোচনায় দেখা যায় মাত্র দশম থেকে দ্বাদশ শতক,এই দুশো বছরে …

error: সংরক্ষিত !!