Last Update : April 26, 2024
অন্নদামঙ্গল ১৭৫১ খ্রি.
কবি = রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র।
প্রকৃতি = মঙ্গলকাব্য বিষয়ক গ্রন্থ।
বিভাগ = অন্নদামঙ্গলের কাহিনি তিন খণ্ডে বিভক্ত-(১) অন্নদামঙ্গল বা পৌরাণিক লৌকিক অংশ, (খ) অন্নপূর্ণা বা মানসিংহ, (গ) কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দর। প্রথম খন্ডে হরপার্বতী, ব্যাসদেব, হরিহোড় বা ভবানন্দের সঙ্গে অন্নদার দেবমাহাত্ম্যমূলক কাহিনি। দ্বিতীয় খণ্ডে ভবানন্দ-মানসিংহ এবং প্রতাপাদিত্যের ঐতিহাসিক কাহিনি বর্ণিত হয়েছে এবং তৃতীয় খণ্ডে বিদ্যার সঙ্গে সুন্দরের প্রেমোপাখ্যান ও কালিকার মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য
++ মঙ্গলকাব্যের ধারায় ভারতচন্দ্রের এক নূতন মঙ্গল।
++ ড. সুকুমার সেনের মতে, “মুকুন্দরাম দেবতাকে মানুষ করিয়েছেন। ভারতচন্দ্র দেবতাকে নট করিয়েছেন।”
++ অন্নদামঙ্গলের মধ্য দিয়ে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের শুভ সূচনা।
++ অষ্টাদশ শতাব্দীর অবক্ষয়ের চিত্র এই গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।
++ বাক্-রীতির অভূতপূর্ব অন্ত্যানুপ্রাস অলংকারের নিপুণ প্রয়োগ। নানা প্রকার সংস্কৃতছন্দের বাংলা রূপান্তর, হাস্যকৌতুকের যথাবিহিত ব্যবহার প্রভৃতি উচ্চ কলানৈপুণ্যের পরিচয় অন্নদামঙ্গলে রয়েছে।
++ ভারতচন্দ্র ছিলেন রাজসভার কবি। তাই তাঁর কাব্যে জৌলুষ ও আড়ম্বর স্থান পেয়েছে। সমকালীন যুগধর্ম ও পরিবেশকে ভারতচন্দ্র ছাড়িয়ে উঠতে পারেননি।
++ ভারতচন্দ্রকে অনেকে বলে থাকেন রঙ্গব্যঙ্গের কবি। সে রঙ্গব্যঙ্গ হাস্যপরিহাসের পরিচয় অন্নদামঙ্গলের ছত্রে ছত্রে রয়েছে।
++ চরিত্রচিত্রণের ক্ষেত্রে বিশেষ করে হীরামালিনীর চরিত্র রূপায়ণে কবি বিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল মঙ্গলকাব্যধারায় এক স্বতন্ত্র মঙ্গলকাব্য।
++ ভারতচন্দ্রের কাব্য ‘রাজকন্ঠের মণিমালার মত’। – অন্নদামঙ্গল সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের এই অভিমত যথার্থ।
++ এই কাব্য যুগসন্ধির কাব্য।