Menu

Category: গদ্যের-সূচনা

উইলিয়াম কেরি (১৭৬১ – ১৮৩৪)

উইলিয়াম কেরি (১৭৬১ – ১৮৩৪) বাংলা গদ্য সাহিত্যের ইতিহাসে কেরী সাহেবের অবদান বিশেষ উল্লেখযোগ্য। প্রথমে বাংলা গদ্য ভাষার চর্চা ধর্ম-প্রচারকরূপ লক্ষ্যের উপায় হিসেবে তিনি প্রহণ করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উপায়ের গৌণ ভূমিকায় না থেকে লক্ষ্যের মুখ্য ভূমিকা সে অধিকার করে বসল। শ্রীরামপুর থেকে কেরি আগেই বাইবেলের বঙ্গানুবাদ প্রকাশ করেছিলেন। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বিভাগীয় প্রধান রূপে তিনি …

মিশনারীদের প্রচেষ্টায় বাংলা গদ্য

  পোর্তুগীজ মিশন   ইউরোপীয় জাতিগুলির মধ্যে পর্তুগীজদের সঙ্গেই বাংলাদেশের প্রথম সম্পর্ক স্থাপিত হয়। খ্রিস্টধর্ম প্রচার করতে গিয়ে তারা বাংলা ভাষা শিখে বাংলায় বই লেখা প্রয়োজনীয় বলে বোধ করতে লাগলেন। সপ্তদশ শতকেই যে এ জাতীয় গদ্য রচনার আবির্ভাব ঘটেছিল তার পরোক্ষ প্রমাণ আছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে রচিত কিছু বই পাওয়া গিয়েছে।   ১. দোম আন্তোনিও রচিত …

মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার (১৭৬২-১৮১৯)

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান পণ্ডিত ছিলেন মৃত্যু বিদ্যালঙ্কার। রামমোহন-পূর্ব যুগের স্মরণীয় বাঙালিদের মধ্যে তাঁর নাম সর্বাগ্রে উল্লেখ করতে হয়। বাংলা গদ্য সাহিত্যের প্রকৃত স্রষ্টারূপে মৃত্যুঞ্জয়কেই সম্মান দেওয়া উচিত। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের যে পণ্ডিতদের চেষ্টায় বাংলা গদ্য সাহিত্য ভিত্তি লাভ করে, মৃত্যুঞ্জয় তাঁদের মধ্যে রচিত গ্রন্থের সংখ্যাধিক্যে এবং ভাষার শিল্পরূপের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ স্থানের অধিকারী ছিলেন। …

রামরাম বসু ১৭৫৭-১৮১৩

রামরাম বসু দীর্ঘকাল ইংরেজ মিশনারীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে কেরি সাহেবের বাংলা শিক্ষক এবং মুনসি হিসেবে তিনি শ্রীরামপুর মিশনে বেশ কিছুকাল অবস্থান করেছিলেন। মিশন-প্রচারিত গ্রন্থাবলীর অনুবাদ, রচনা ও সম্পাদনায় তাঁর কিছু ভূমিকা থাকা সম্ভব। অবশেষে তাঁর সাক্ষাৎ পাই ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের শিক্ষক হিসেবে। কেরির উৎসাহে তিনি বাংলা ভাষায় গ্রন্থ প্রণয়নে অগ্রসর হলেন। তাঁর ‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র’ ১৮০১ সালে মুদ্রিত …

বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ-এর গুরুত্ব

গভর্নর লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ সালে যখন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তুললেন, তখন থেকে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল বলা যায়। বাংলা সাহিত্যের প্রসারে এই কলেজের অবদান অনস্বীকার্য। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ রাষ্ট্রশাসন পরিচালনের জন্য ইংরেজ সিভিলিয়ানদের ঔপনিবেশিক ভারতের ভাষা শিক্ষা করা একান্তভাবেই প্রয়োজন। কোম্পানি এই উদ্দেশ্যে কলকাতায় একটি কলেজ স্থাপন করলো ১৮০০ সালে। কোম্পানির উদ্দেশ্যের মধ্য রাষ্ট্রশাসন ব্যবস্থা …

error: সংরক্ষিত !!